কোভিড-১৯ নির্দেশনা
কোভিড-১৯ নির্দেশনা
কোভিড-১৯ নিয়ে আতঙ্ক নয়, সচেতনতাই পারে সকলকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে।
কোভিড-১৯ নির্দেশনা
তিন বান্ধবী মাইশা,
নিশি ও সায়মা নবম শ্রেণীতে পড়ে। করোনাভাইরাসে সংক্রমণের কারণে চলছে লকডাউন। ওদের স্কুল বন্ধ, সারা দিন ঘরেই থাকতে হয়। কিন্তু ওরা সোশ্যাল মিডিয়ার
মাধ্যমে কথা বলে, দেখা করে। এখন ওরা ভিডিও কলে কথা বলছে।
মাইশা: নোভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) হলো একধরনের অতি
সংক্রামক ভাইরাস।
নিশি: আক্রান্ত ব্যক্তির
হাঁচি, কাশি এবং
তার স্পর্শ করা বস্তুর মাধ্যমে মূলত ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।
সায়মা: জ্বর, শুকনো
কাশি, শ্বাসকষ্ট
এবং ক্লান্তি হলো করোনাভাইরাস সংক্রমণের কিছু সাধারণ লক্ষণ।আক্রান্তের ২ থেকে ১৪ দিন পর লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে পারে।
মাইশা: এখন পর্যন্ত যেহেতু এই রোগের কোনো প্রতিষেধক
তৈরি হয়নি তাই আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে হবে।
নিশি: করোনাভাইরাসকে নিয়ে হেলাফেলা করা যাবে না।
এর কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ তাঁদের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।
সায়মা: তবে আতঙ্কিত হলে চলবে না। নিজেরা সচেতন
থাকলে আর এই ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব।
সায়মা: প্রয়োজন অনুযায়ী কিছুক্ষণ পর পর অন্তত ২০
সেকেন্ড ধরে সাবান পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে।
মাইশা: হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় রুমাল, কাপড়, টিস্যু বা
হাতের কনুই এর ভাঁজে মুখ ঢাকতে হবে।
সায়মা: অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, নাক, মুখ স্পর্শ করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।
মাইশা: জ্বর-কাশি আছে এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে
সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
নিশি: অপ্রয়োজনে শারীরিক সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। করমর্দন এবং
কোলাকুলি করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
নিশি: অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়া, যেকোনো গণজমায়েত বা ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে।
নিশি: অন্যদের সাথে মেলামেশার ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৩ ফিট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এটাকে বলে সামাজিক দূরত্ব।
সায়মা: সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিলে পরীক্ষা এবং চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করতে হবে ৩৩৩ অথবা ১৬২৬৩ নম্বরে।
আইসোলেশন
নিশি: আইসোলেশন হলো, ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বা আক্রান্তের লক্ষণ দেখা দিলে নিজেকে সবকিছু থেকে আলাদা করে ফেলা যাতে এটি অন্যদের মাঝে ছড়াতে না পারে।
হোম কোয়ারেন্টাইন
মাইশা: আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে বা আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকলে, পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য নিজ বাসগৃহে আলাদাভবে থাকাই হোম কোয়ারেন্টাইন।
সায়মা: সাধারণত ১৪ দিন পর বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আইসোলেশন ও হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ করতে হবে।
লক ডাউন
সায়মা: করোনাভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পরে তাই সরকার থেকে কোনো
নির্দিষ্ট এলাকায় চলাচল সীমাবদ্ধ করাই হলো লকডাউন।
নিশি: জরুরী প্রয়োজনে বাহিরে
গেলে মুখে মাস্ক পড়ে বের হতে হবে ও জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে।
মাইশা: সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং ধর্মীয় উপাসনালয়ে যাবার ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
সায়মা: করোনাভাইরাসের
সংক্রমণের কারণে দেশে দেশে সহিংস উগ্রবাদী তৎপরতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
মাইশা: তরুণ-তরুণীদের স্কুল, কলেজ, লেখাপড়া, প্রশিক্ষণ
বন্ধ। আড্ডা, খেলাধুলা, বেড়ানো
এমনকি চলাফেরাও সীমিত হয়ে পড়েছে।
নিশি: পাশাপাশি পরিচিত কেউ
যথাযথ চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করে থাকতে পারে।
সায়মা: ফলে দেশের প্রচলিত অবস্থা ও রাজনীতি নিয়ে তাঁদের মনে হতাশা, ক্ষোভের
সৃষ্টি হতে পারে।
সামি: এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে উগ্রবাদীরা তরুণদের মধ্যে ঘৃণা
ছড়িয়ে তাদের সন্ত্রাসবাদী কাজে যুক্ত করতে পারে।
মাইশা: কোভিড-১৯-এর
প্রভাবে সাধারণ জনজীবন কেন পরিবর্তিত হয়েছে তা বুঝতে পারলেই এই হতাশা, ক্ষোভ দূর
করা সম্ভব।
নিশি: সুতরাং সচেতনতাই
পারে কোভিড-১৯ এবং উগ্রবাদের কবল থেকে সবাইকে মুক্ত রাখতে।
কোভিড-১৯ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নিজেকে ও অন্যকে নিরাপদ ...